লিটন দাস

হ্যালির ধূমকেতুর মতো হঠাৎ হঠাৎ জ্বলে ওঠেন লিটন দাস। কোনো এক ম্যাচে ফিফটি বা সেঞ্চুরির পর দীর্ঘদিন থাকেন ‘ঘুমিয়ে’। এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) ব্যতিক্রম কিছু হচ্ছে না। এমন দুঃসময়ে লিটন পাচ্ছেন লঙ্কান ক্রিকেটার থিসারা পেরেরাকে।

২০২৫ সাল শুরু হলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ততা আপাতত নেই। লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজরা এখন ব্যস্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। বছরের প্রথম দিনে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কেউ পেয়েছেন সুসংবাদ। কেউ পেয়েছেন দুঃসংবাদ।

যেকোনো ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারে খারাপ সময় আসতে পারে। লিটন দাসেরও সেই সময় কাটছে। তবে সেটি নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। উল্টো বাংলাদেশ উইকেটরক্ষক নেতৃত্ব দেখে মুগ্ধ তিনি।

এই লিটন দাসকেই দুই বছর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অধিনায়ক করতে চেয়েছিল, তখন তিনি রাজি নন বলে শোনা গিয়েছিল। বাড়তি চাপ নিতে চান না বলেই লিটনের ছিল অধিনায়কত্ব নিতে অনীহার কারণ। এবার লিটন জানিয়েছেন, বিসিবি চাইলে অধিনায়কত্ব করতে রাজি তিনি।

তাসকিন আহমেদের বলে ওবেদ ম্যাকয় বোল্ড হতেই বাংলাদেশ লিখল নতুন ইতিহাস। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ। এ বছরের অক্টোবরে ফিল সিমন্স প্রধান কোচ হওয়ারই বাংলাদেশ এমন অর্জন করেছে।

তিন সংস্করণ মিলিয়ে টানা ১৭ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই লিটন দাসের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সাদা ও লাল বলের সংস্করণ মিলিয়ে তাঁর ছয় ইনিংস—১, ২৫, ৪, ২, ০, ০। এ লিটনই টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ দলকে। অধিনায়কত্ব নিয়ে অবশ্য কোনো প্রশ্ন নেই, বিসিবির নির্বাচকেরা চিন্তিত তাঁর ব্যাটিং ও আউট হওয়ার ধরন নি

বড় ইনিংস খেলা তো দূরে থাক, লিটন দাসের জন্য এখন এক অঙ্কের গণ্ডি পেরোনোই বিশাল চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁর এক অঙ্কের ঘরে আউট হওয়া খুব পরিচিত দৃশ্য। কখনো কখনো বিদায় নিচ্ছেন রানের খাতা খোলার আগেই।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় কুড়ি ওভারের সিরিজেও নেই নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তাঁর পরিবর্তে অন্তর্বর্তীকালীন এই সিরিজে অধিনায়কত্ব করবেন লিটন দাস।

আলজারি জোসেফের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি ছেড়ে দিলেই পারতেন সৌম্য সরকার। বিরাট কোহলির মতোন ব্যাটার হলে এই বলে নিশ্চিত কাভার ড্রাইভের চিন্তাভাবনা করতেন। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরু থেকে দ্বিধাথরথর চিত্তের সৌম্য আর বদলালেন কই! লিটন দাসও কি পাল্টাতে পেরেছেন নিজেকে?

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ী টি-টোয়েন্টিতে কী নির্মম ব্যাটিংই না করলেন ওপেনার সঞ্জু স্যামসন ও অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব! দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে ৭০ বলে করলেন ১৭৩ রানের জুটি। ভারতও পায় ৬ উইকেটে ২৯৭ রানের রেকর্ড গড়া স্কোর। টি-টোয়েন্টিতে এটিই বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো দলের সর্বোচ্চ। আর এ সংস্করণে

সংবাদ সম্মেলনে এমন লিটন দাসকে সবশেষ কবে দেখা গেছে? বেশিরভাগ সময়ই থাকেন তিনি বিমর্ষ অবস্থায়। সেখানে আজ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর লিটন দিয়েছেন হাসিমুখে। মজাও করেছেন বাংলাদেশের এই ব্যাটার।

কোক কি নামিয়ে দেব?’—এক সাংবাদিকের মজা করে বলা কথাটা শুনে বেশ একটা অট্টহাসি দিলেন লিটন দাস। তারপর বললেন, ‘না ভাই, কোক আমারও চলে, মাঝে মাঝে’।